পৌর শহরের কালীপুর মধ্যপাড়ায় শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে বলে ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান।
আয়ান নামের এই ছেলে শিশু কালীপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া ও সাকিলা বেগমের প্রথম সন্তান।
ওসি শাহিন বলেন, নবজাতকের মৃত্যু অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে ওই বাড়ির সদস্য ও পাড়া-প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে নিজ ঘরে আয়ানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মা সাকিলা। দুপুরের রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন আয়ানের দাদি শামসুন্নাহার বেগম। রান্না শেষে ঘরে এসে শামসুন্নাহার দেখতে পান সাকিলা ঘুমিয়ে থাকলেও পাশে আয়ান নেই। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শৌচাগারে রাখা বালতির পানিতে আয়ানকে পাওয়া যায়।
সঙ্গে সঙ্গে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না রানী দত্ত বলেন, “আমরা নবজাতকটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পানিতে ডুবে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে।”
পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মৃত নবজাতকটিকে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
দাদি শামসুন্নাহার বেগম বলেন, “দুপুর ১২টার দিকে আয়ানকে জড়িয়ে ধরে তার মা ঘুমিয়ে পড়ার আধ ঘণ্টা পর সাড়ে ১২টার দিকে আমি রান্নাঘর থেকে এসে দেখতে পান সাকিলার পাশে আয়ান নেই। আমি সাকিলাকে সজাগ করে আয়ানের সন্ধান করতে থাকি।
“কে বা কারা এবং কী কারণে নবজাতকের সঙ্গে এমন হিংস্র আচরণ করল কিছুই ধারণা করতে পারছি না।”
এলাকার বাসিন্দারা জানান, আয়ানের বাবা ইদ্রিস টিভি মেকানিক। সাকিলার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ১৬ দিন আগে এই ছেলের জন্ম হয়।