শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তার এমন মন্তব্য আসে।
মন্ত্রী বলেন, “আমি বলে দিতে চাই, এই হামলাটাকে কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা ধরে নেওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ হচ্ছে এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
“এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিছু জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছে। এটি বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়।”
দুর্গা পূজার সময় কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কুমিল্লা হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয় হিন্দু সম্প্রদায়।
এসব ঘটনায় পুলিশ শতাধিক মামলা করেছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষকে। হাই কোর্ট এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতার পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠনের দাবি আবারও সামনে নিয়ে আসছে হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “সংখ্যালঘুদের জন্য যে কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে এটি উচ্চপর্যায়ে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি আমার একার সিদ্ধান্ত না। সেজন্য আমি এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব না।”
এর আগে মন্ত্রী আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারত সরকারের দেওয়া দুটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মাসুদ বিন মোমেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি হায়াত উদ-দৌলা খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।