মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসুন কান্তি দাস জানান, বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে; পরে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারা হলেন জেলার ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের ইটাউলিয়া গ্রামের সমশের আলীর ছেলে তারা মিয়া (৭০), কালিয়ান গ্রামের মেফর আলীর ছেলে মো. রুস্তম আলী (৮১) এবং সোহাগী বাজারের প্রয়াত হোসাইন আহম্মেদের ছেলে সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান (৭২)। মোস্তাফিজুর নগরীর এবি গুহ রোডে বসবাস করছিলেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এই সংবাদ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে নগরীর এবি গুহ রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“পরে বিকাল ৫টার দিকে তাকে মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার কথা জানার পর তারা মিয়া ও মো. রুস্তম আলীকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“সন্ধ্যায় বিচারিক হাকিম মাহবুবা আক্তারের আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার তিন জনই মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। তারা ছাড়াও ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এদের মধ্যে তারা মিয়া ‘জালিয়াতির’ মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা ভোগ করছিলেন বলে পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস জানান।