প্রতিবেশীরা পুলিশকে বলেছেন, আব্দুর রশীদ নামের ওই বৃদ্ধ চার দিন আগে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পর আর ফেরেননি বলে তারা জানতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঈশ্বরগ্রাম এলাকায় ওই ঘর থেকেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আব্দুর রশীদের নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে মুক্তাগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চাঁদ মিয়া বলেন, “আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।”
মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, “লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড।”
আব্দুর রশীদের স্ত্রী বেঁচে নেই। সাত মেয়ের সবার বিয়ে হয়ে গেছে। ঈশ্বরগ্রামের ওই টিনের চালা ঘরে তার সাথে থাকতেন কেবল নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু।
প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক চাঁদ মিয়া বলেন, গত রোববার বেলা ২টার দিকে আব্দুর রশীদ চোখের চিকিৎসা করাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে বাবুও শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে ওই ঘর তালাবন্ধই ছিল। কিন্তু দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পাশের ঘরের আত্মীয়দের সন্দেহ হয়।
“বৃহস্পতিবার রাতে তারা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে মাটিচাপা দেওয়া লাশ দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন থানায় খবর দেয়।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।