সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের এই চার ওয়ার্ডে দলটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদের এই নির্বাচন হয় শুক্রবার।
নির্ধারিত এই দিনে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রয়োগ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা জাতীয় কোনো নির্বাচন না হলেও আর দশটা নির্বাচনের মতো তফশিল ছিল। তফশিল মোতাবেক মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাইও হয়েছে। প্রর্থীরা প্রচারের সময় পেয়েছেন ১০ দিন। প্রতীক পেয়ে পোস্টার লাগিয়ে ও মাইকিং করে প্রচার এবং গণসংযোগ করেন প্রার্থীরা।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক জানান, মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডের জন্য চারটি ভোট কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ মিলে মোট তিন হাজার ৩০০ ভোটার ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই হাজার ১০০, আর নারী ভোটার এক হাজার ২০০ জন।
রাতে ভোটগগনা শেষে রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ লিমন ফল প্রকাশ করেছেন বলে জানান মমিনুল।
তৃণমূল বিএনপির সদস্যরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
হাড়িভাঙ্গা দরগার পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী আকবার আলী (৬০)।
সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরে তিনি সন্তষ্টি প্রকাশ করেন।
একই কেন্দ্রের ভোটার জয়নাল আবেদীন (৪৫) বলেন, “আগে নেতারাই নেতা নির্বাচন করে দিত। কিন্তু এবার আমাদের নেতা আমরাই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করতে পেরে খুশি।”
পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার সবগুলো ওয়ার্ডে এভাবে নেতা নির্বাচিত হবে বলে নেতারা জানিয়েছেন।
২ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মন্তুজার রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছাবেদ আলী।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কাজল।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন রানা।