খুলনায় হাসপাতালের ‘আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা’ টেকনোলজিস্ট

খুলনা সদর হাসপাতালে বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা নিয়ে টেকনোলজিস্ট লাপাত্তা হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2021, 06:36 PM
Updated : 27 Sept 2021, 06:36 PM

জেলার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, “দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকার হিসাব না দিয়ে ওই হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ লাপাত্তা হওয়ায় মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

প্রকাশ যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সিভিল সার্জন নিজে ওই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

তিনি বলেন, “গত ডিসেম্বরে খুলনার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করার পর জানতে পারি কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা সিভিল সার্জনের নাম করে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।

“গত এপ্রিলে ব্যাপারটি প্রমাণিত হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবকদের বাদ দেওয়া হয়। আর বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার মূল দায়িত্বে থাকা প্রকাশের কাছে সব পরীক্ষার তথ্য ও হিসাব চাওয়া হয়। তবে হিসাব জমা দিতে গড়িমশি করেন তিনি।”

সিভিল সার্জন বলেন, “গত ২২ অগাস্ট সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তাতে দেখা যায়, প্রকাশের জমা দেওয়া টাকার সঙ্গে দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকার অসংগতি রয়েছে।

“পরদিন প্রকাশকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ওই টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। এরপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও প্রকাশকে না পেয়ে খুলনা থানায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রকাশ যেন দেশত্যাগ করে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে এসে বিভিন্ন হিসাব নিয়ে বসেন প্রকাশ। দুপুরের দিকে হঠাৎ অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত তিন দিন অফিসে আসেননি তিনি। বাসায় খোঁজ নিলেও সেখান থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রকাশের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।