এর ফলে এখন থেকে আমদানি পণ্যের সব তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার ডাটাবেজে এন্ট্রি হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, চট্টগ্রামের পর এই প্রথম বেনাপোল বন্দর অটোমেশনের আওতায় এল। চলতি মাস থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়ায় এ অটোমেশন সেবা পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরীক্ষামূলক বেনাপোল বন্দরে অটোমেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এখন গুগলক্রমে ঢুকে আমদানিকৃত পণ্যের মেনিফেস্ট নম্বর এন্ট্রি করে ওয়েভ অ্যাড্রেসে সার্চ দিয়ে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক তার পণ্যের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারবেন। এটি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।
মামুন বলেন, প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাটাসফ্ট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০ অগাস্ট বেনাপোল বন্দরে অটোমেশন কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়।
ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর এলাকায় প্রবেশের পর মালামালের সঠিকতা নিরূপণ, স্কেলে ওজন, শেড বা ইয়ার্ডে পোস্টিং,পণ্য বন্দরে আনলোড করে ভারতীয় গাড়ি ফিরে যাওয়ার যাবতীয় তথ্য অটোমেশনের কারণে সহজেই নির্ণয় করা যাচ্ছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, “এই বন্দরটি এতদিন আধুনিকায়নে পিছিয়ে ছিল। আগে শুল্ক ফাঁকি থেকে শুরু করে একজনের পণ্য অন্যজন নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন সে সুযোগ আর নেই।
“বন্দর অটোমেশন আওতায় আসায় ব্যবসায়ীরা ঘরে বসেই মোবাইলে সার্বক্ষণিক জানতে পারছেন আমদানি পণ্যের তথ্য। এতে বাণিজ্যিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বেড়েছে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের ওয়্যারহাউস সুপার ধনঞ্জয় বার্মা বলেন, আমদানি পণ্যের তথ্য আগে খাতা কলমে এন্ট্রি করে তথ্য সংগ্রহ করা হত। এখন সম্পূর্ণ কম্পিউটারে ডাটাবেজ এন্ট্রিতে অটোমেশন সুবিধার মাধ্যমে দ্রুত তথ্য দেওয়া যায়।
বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসব তথ্য চোখের পলকে দেখতে পারছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, শুল্কভবনের পাশাপাশি বন্দর অটোমেশনের আওতায় আসায় বাণিজ্যে গতি ও স্বচ্ছতা বেড়েছে।
“আমদানিকারকরা তথ্য জানতে চাইলে তা আগে দ্রুত সরবরাহ করা যেতো না। তবে এখন ইচ্ছে করলে আমদানিকারক তথ্য-উপাত্ত মোবাইল ফোনে দেখতে পারবেন।”
বন্দরের সঙ্গে শুল্কভবনের অটোমেশন সংযোগ হলে আরও বেশি সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।