দেবীগঞ্জ থানার এসআই শাহকিলুর রহমান জানান, বোদা উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের চর তিস্তাপাড়া এলাকা থেকে বাবুল নামের ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাবুল (২০) ওই এলাকায় সপিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
বাবুলের বড় ভগ্নিপতি হোসেন আলী জানান, শুক্রবার রাতে বাবুলের সঙ্গে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের শালবাড়ি-দিনবাজার এলাকার এক মেয়ের বিয়ে হয়। রাতে নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর পরিবারের সদস্যরা ঘুমাতে যান।
শনিবার ভোরে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে কলের পাড়ে যাওয়ার সময় রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় বাবুলকে ঝুলতে দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন।
এ সময় পরিবারের লোকজন গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় বাবুলকে লাশ নামিয়ে থানায় খবর দেয় বলে জানান তিনি।
বাবুলের ছোট ভগ্নিপতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, “রাত ১টার দিকে সবাই যখন ঘুমাতে যায়, তখন আমিও ছেলেমেয়েদের নিয়ে অন্য ঘরে ঘুমাতে যাই। সারা দিন ক্লান্ত থাকায় শোবার পরপরই ঘুমিয়ে পড়ি।
ভোরে চিৎকার শুনে উঠে দেখি বাবুল রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। তবে তার পা দুটো মাটিতে লাগানো ছিল। এমন দৃশ্য দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি, পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেছে।”
দেবীগঞ্জ থানার এসআই শাহকিলুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা লাশটি রান্নাঘরে নামানো অবস্থায় পেয়েছি। তখনও গলায় দড়ি প্যাঁচানো ছিল। মৃত ব্যক্তির থুতনির নিচে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
“পরিবারের লোকজনের দাবি, বাবুল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান এসআই।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।