মঙ্গলবার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
আটক আলী আযম নিজেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘সত্যের দিগন্ত’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দিয়েছেন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শরীফপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সকালে স্কুলে শিক্ষকরা যার যার ক্লাশে নিয়মিত কাজ করছিলেন। এসময় আলী আযম ও আরেক ব্যক্তি নিজেদের সাংবাদিক এবং আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেন এবং পরে তারা স্কুলের হাজিরা খাতা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি দেখতে চান।
“শিক্ষকরা তা দেখাতে না চাওয়ার আলী আযম ও তার সঙ্গেী শিক্ষকদের উপর ক্ষিপ্ত হন। তারা এক পর্যায়ে শিক্ষকদের গালাগাল শুরু করেন। পরে তারা দুজন বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবেন বলে হুমকি দেন।”
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, পরে শিক্ষকরা তাদের অপরাধ কী জানতে চাইলে দুজন বিষয়টি সমাধান করার কথা বলেন। কীভাবে সমাধান করতে হবে জানতে চাইলে আলী আযম ও তার সঙ্গী শিক্ষকদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
তিনি জানান, এই সময় শিক্ষকদের সঙ্গে ওই দুই ব্যক্তির উত্তেজিত কথা কাটাকাটির মধ্যে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে আলী আযমের সঙ্গের ব্যক্তি পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আলী আযমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এই ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লাল মিয়া বকসী বাদী হয়ে আলী আযম ও পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আশুগঞ্জ থানায় ওসি মো. আজাদ রহমান বলেন, আলী আযমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে৷ লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।