সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার দুপুরে তা বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীণ নদনদীর পানিও বাড়ছে।
এদিকে বন্যার পানিতে জেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট ও আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চৌহালী, কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদীতীরের মানুষেরা। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটও দেখা দিয়েছে।
কাজিপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েকদিন ধরে পানির তীব্র চাপের কারণে মাজনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে সরিষাবাড়ি ও জামালপুর যাওয়ার সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এ সড়কের দুটি সেতু সম্পন্ন ধসে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৫ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাড়ে ৫’শত টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকা করে বন্যার্তদের মাঝে তা দ্রুত বন্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।