বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাস্টাররোলের এ কর্মচারীরা আন্দোলনকারীরা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। রাত ৮টায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তিনি মুক্তি পান বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
এর আগে গত ১৬ জুন একই দাবিতে তারা উপাচার্যকে তার আফিসে ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেছিলেন।
আন্দোলনকারী কর্মচারী রফিক বলেন, “জুলাই মাস থেকে আমরা বেতন বঞ্চিত। ভিসি আমাদের জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে টাকা নাই তাই তিনি বেতন দিতে পারবেন না।
“১৬ জুন তাকে অবরুদ্ধ করার পর তিনি আমাদের আশ্বাস দেন। তারপর আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করি কিন্তু তিনি সেই কথা রাখেন নি। এখন তিনি বেতন নিয়ে নয়-ছয় করছেন, আমাদের নিয়ে তার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নাই।”
অপরদিকে ৩ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, মাস্টাররোলের কর্মচারীদের কোনো বৈধতা নাই। আগের ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘরের কিছু লোক আছে। তারা বাণিজ্য করে এদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকাইছে।
“তারা অবৈধ, তাদের কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নাই, তাদের কোনো কাগজপত্রও নেই।”
বিষয়টি ইউজিসিকে জানানোর কথা বলে তিনি জানান, ইউজিসি তাদের ব্যাপারে এখানো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তারপরও আন্দোলনের মুখে আমরা আলোচনা করে একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।