ঘুষের অভিযোগের ভিডিও প্রকাশ, ধর্ষণচেষ্টার মামলার তদন্তকারী এসআইকে প্রত্যাহার

ধর্ষণচেষ্টার মামলার বাদীর কাছ থেকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের এক ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর এক এসআইকে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2021, 07:38 PM
Updated : 30 August 2021, 07:38 PM

জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই ওমর ফারুককে রোববার প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে আনা হয়।

তিনি দেবিদ্বার থানার ধর্ষণচেষ্টার ওই মামলার তদন্ত করছিলেন।

ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠলেও এস্আই ওমর ফারুককে সেজন্য প্রত্যাহারের কথা স্বীকার করেননি কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঘুষ দাবি কিংবা গ্রহণের বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি, এটা তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে ধর্ষণচেষ্টা মামলাটির তদন্তে ওই তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি ছিল, তাই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।”

গত ২০ অগাস্ট দেবিদ্বার উপজেলার কুরছাপ গ্রামে ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে নিতে আসামি হাসান এবং তার ভাই কাউছার আহম্মেদসহ অন্যান্য আসামিরা ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মা-বাবাকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করেন।

তার আগে গত ২৪ মে হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছিল, তার তদন্ত করছিলেন এসআই ওমর ফারুক।

এদিকে মারধরের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নির্যাতনের ঘটনায় ২৬ অগাস্ট রাতে দেবিদ্বার থানায় হাসান, তার ভাই কাউছার, বাবা নুরুল ইসলামসহ আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা।

পরদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাব-পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল আসামি কাউছার ও হাসানকে এখনও গ্রেপ্তা্র করা হয়নি।

এর মধ্যে ওই কিশোরীর মায়ের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও প্রকাশ হয়, যাতে তিনি এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলছিলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের কথা বলা হলেও এসআই ফারুক বাড়িতে এলেই বলেন, ‘আরও টাকা লাগবে’।

এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই এসআই ফারুককে প্রত্যাহার করা হল।

অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।