সোমবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের চরপাতাং এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব হাওলাদার এবং তার পাশের প্রবাসী বাবুল সরদারের বাড়ি থেকে এ চাল আটক করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ফাতেমা খাতুন জানান, সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই চাল আটক করা হয়।
“তারা যে সব কাগজপত্র দেখিয়েছে তা বিধি সম্মত নয়।”
পরে শরীয়তপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নুরুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পান।
নুরুল হক বলেন, “পুলিশের কাছ থেকে ব্যসায়ী আব্দুর রব হাওলাদার চাল কিনেছেন, এ মর্মে তার কাছে একটি প্রত্যায়নপত্র আছে। আমরা চালগুলো আটক রেখেছি। বিষটি খতিয়ে দেখব।”
সেখানে তিনি পুলিশ সুপারের নামে ডিও করা চার টন চালের অর্ডার কপি পান।
আওয়মীলীগ নেতা আব্দুর রব হাওলাদারের মেয়ের জামাই আনোয়ার সরদার বলেন, আমরা ব্যবসা করার জন্য পুলিশ লাইন থেকে এ চাউল কিনেছি। সে সকল কাগজ পত্র আমরা দেখিয়েছি।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, “এ চাল আমি ব্যবসার জন্য পুলিশ লাইন থেকে কিনেছি। সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। আমি নির্বাচনে আংগারিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চাই। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।”
এদিকে, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামানকে বারবার মোবাইল ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর পুলিশ লাইনের রির্জাভ ইন্সিসপেক্টর (আরআই) খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”
প্রতারণা করে বাজারে বেশি দামে বিক্রির জন্য এসব চালের বস্তা খুলে বিভিন্ন কোম্পানির নামে ২৫ কেজি করে প্যাকেট করে সেলাই করা হচ্ছিল বলেও জানা গেছে।