বগুড়ার গাবতলী, শাহজাহানপুর, ধনুট, সদর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা চারা বিক্রি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকরা এখানকার বীজতলা থেকে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো এলাকায় জমিতে চারা লাগানোও শুরু হয়েছে।
গাবতলী উপজেলার নিজগ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বিজলী, বিজলী প্লাস, ড্যান্জার, ১৭০১, গ্রিন সুপার জাতের মরিচের চারা রোপন করেছেন।
তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় পাঁচ লাখ চারা জন্মে। এবার চারার দাম কম হলেও প্রতি হাজার চারা ৪শ টাকায় বিক্রি করছেন।
শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে চারা উৎপাদনের জন্য বীজ বপন করা হয় এবং বাইশ দিনে চারা লাগানোর উপযুক্ত হয় বলে তিনি জানান।
নন্দীগ্রামের কৃষক সিদ্দিক হোসেন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে চারা রোপন করেছেন। প্রতি বিঘায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ মন পর্যন্ত মরিচ উৎপাদন হয়ে থাকে। চারা রোপনের ৫০ দিনের মাথায় মরিচ ধরতে শুরু করে।
তার মতো আরও অনেকেই অধিক লাভজনক হওয়ায় কাঁচা মরিচের চারা রোপন করেছেন বলে তিনি জানান।
বগুড়া কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. দুলাল হোসেন বলেন, হাইব্রিড জাতের কয়েক ধরনের এই কাঁচা মরিচ শীতের প্রথম দিকে বাজারে উঠতে শুরু করে। বগুড়ায় ৯শ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চারা রোপন হয়েছে। এসব চারা জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও প্রায় ৩৫ জেলায় বিক্রি হয়ে থাকে।
হাইব্রিড জাতের এই কাঁচা মরিচ দেশের চাহিদার বিরাট একটা অংশের যোগান দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
বগুড়া রাজাবাজারের কাঁচা মরিচ আমদানিকারী পরিমল কুমার বলেন, “বগুড়ার শীত মৌসুমের কাঁচা মরিচ উৎপাদনের ফলে আমাদের এই মৌসুমে আমদানি অনেক কমে যায়। সারা দেশে চাষ বেশি হলে হয়ত-বা আমারা রপ্তানি করতে পারব।”