গত রোববার রাত ১১টায় উপজেলার পিঞ্জুরী গ্রামের সুমন শেখ মোবাইল ফোনে ছবিটি ধারণ করেন এবং ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন।
এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশ প্রহরী হালিম শেখকে কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য।
সুমন শেখ (৩৫) সাংবাদিকদের বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি তার অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখেন কেউ নেই; ডাক্তারের টেবিলের উপর একটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে।
“আমি তখন ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করি। এরপর অনেক ডাকাডাকির পর ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশ প্রহরী হালিম শেখ এসে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তরকে ডেকে আনেন।”
এরপর ডা. রাজিয়া সুলতানা লোপা তার শাশুড়ির চিকিৎসা করেন বলে জানান সুমন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই রাতে (৮ অগাস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিয়া সুলতানা লোপা, ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশ প্রহরী হালিম শেখ জরুরি বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু জরুরি বিভাগে কেউ না থাকায় একটি নেড়ি কুকুর চিকিৎসকের টেবিলের উপর উঠে ঘুমিয়ে পড়ে।
এই বিষয়ে ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস বলেন, তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফার্মাসিস্ট পদে চাকরি করেন। জনবল কম থাকার কারণে তাকে জরুরি বিভাগে ডিউটি করতে হয়।
“ওই রাতে অল্প সময়ের জন্য আমি ও নৈশ প্রহরী হালিম শেখ জরুরি বিভাগের পাশে ১০২ নম্বর রুমে গিয়েছিলাম। এই ফাঁকে জরুরি বিভাগের টেবিলের উপর একটি কুকুর উঠে ঘুমিয়ে পড়ে। আমি এসে কুকুরটি দেখতে পেয়ে তাড়িয়ে দেই।”
ডা. রাজিয়া সুলতানা লোপা বলেন, “জরুরি বিভাগ দেখার দায়িত্ব ফার্মাসিস্ট ও নৈশ প্রহরীর। আমরা রাতে জরুরি বিভাগের পাশে ডাক্তারদের যে রুম আছে সেখানে থাকি। রোগী এলে ফার্মাসিস্ট ও নৈশ প্রহরীরা আমাদের ডেকে নেয়।”
টেবিলের উপর কুকুর উঠে ঘুমানোর বিষয়টি তিনি দেখেননি বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তারের টেবিলের উপর কুকুর উঠে ঘুমানোর ছবিটি তিনি দেখেছেন। দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই রাতে কর্মরত ফার্মাসিস্ট দিপক বিশ্বাস ও নৈশ প্রহরী হালিম শেখকে কারণ দর্শানো নোটিস দেওয়া হয়েছে।
“সন্তোসজনক জবাব না দিতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”