গাইবান্ধায় ছাত্রলীগ নেতা খুন: ফলের দোকান পোড়াল জনতা

গাইবান্ধায় আম কেনা নিয়ে বচসার পর হামলায় নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার দাফন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি ফলের দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে।

গাইবান্ধার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2021, 03:31 PM
Updated : 5 August 2021, 03:31 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের হকার্স মার্কেট সংলগ্ন সেই আম বিক্রেতার দোকানে আগ্নিসংযোগ করা হয়; এতে ঠয়টি ফলের দোকান পুড়ে যায়।

বুধবার দুপুরে হকার্স মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় আম কিনতে গিয়ে বিক্রেতা শরিফ মিয়ার সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মঞ্জুরুল হাসান লিখনের (৩৮) হাতাহাতি হয়। পরে তা মীমাংসাও হয়।

এর জেরে রাতে কয়েকজন যুবক তার উপর হামলা চালায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর লিখন মারা যান।   

মঞ্জুরুল হাসান লিখন গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৃহস্পতিবার বাদ আসর শহরের গোরস্থান পাড়া জামে মসজিদে নিহত লিখনের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৌর গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। জানাজা শেষে ফিরতি জনতা শরিফ মিয়ার আমের দোকানে আগুন দেয়।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।

“আগুনে ৫/৬টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।”

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।

এরা হলেন গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানির পাড়ার বাদশা মিয়ার ছেলে রক্সি মিয়া (২১), মিরাজ মিয়ার ছেলে আকাশ (১৯), রুহুল আমিনের ছেলে রিফাত (১৮) ও কনু মিয়ার ছেলে সাফি মিয়া (২০)।