ঈদ বিনোদনে যমুনার তীরে

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঈদ বিনোদনে যমুনার তীরে হাজির হয়েছেন বগুড়ার হাজারো মানুষ।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2021, 06:08 PM
Updated : 21 July 2021, 06:08 PM

বুধবার দুপুরের পর বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার কালিতলা হার্ড পয়েন্ট, কর্নীবাড়ী, ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্পার ও বানিয়াজান স্পারে তারা ঈদ বিনোদনে মাতেন।

করোনাভাইরাস মহামারীতে বিধিনিষেধের মধ্যে কেউ কেউ মাস্ক পরলেও বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি।

শুধু স্থানীয়রা নয়, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কাহালু, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ, শেরপুর, বগুড়া সদরসহ নানা এলাকা থেকে লোকজন এসেছে এখানে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনার পাড়ে অনেকটা মেলার মতই পরিবেশ। বেলুন, খেলনা দোকানসহ চটপটি, ফুসকা, ঝালমুড়ি, আচার, শীতল পানীয়ের দোকান, শরবতের দোকান বসেছে।

বিকালে বানিয়াজান স্পারে কথা হয় বগুড়া শহরের আব্দুল্লাহ হারুনের সঙ্গে। তিনি দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে এসেছিলেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দম বন্ধ করা শহর এবং করোনার কারণে হাঁপিয়ে উঠেছি। কোরবানি শেষ করে তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছি।”

শহড়াবাড়ী স্পারে কথা হয় শেরপুর উপজেলার হাসিম রাজ্জাক ও তার স্ত্রী শর্মিলার সঙ্গে। দুজনই ঢাকায় একটি প্রাইভট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছেন।

তারা বলেন, লকডাউন ও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই এসেছেন যমুনার পাড়ে মুক্ত বাতাসে।

তবে মুখে মাস্ক নেই কেন জিজ্ঞেস করতেই কোনো উত্তর না দিয়ে ভিড়ের মাঝে চলে যান তারা।  

সারিয়াকান্দীর কর্নীবাড়ীতে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার শফিক আমিন এসেছিলেন মাইক্রোবাস নিয়ে সাত বন্ধুসহ।

তিনি বলেন, “এমনিতে করোনার কারণে লকডাউন থাকে। তারপরেও বিনোদনের জায়গা কোথায়? তাই ছুটে এসেছি যমুনার পাড়ে।”

তারা সবাই বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানান।

চটপটি, ফুসকার দোকানদার আরিফুল বলেন, “ঈদ আসলেই বানিয়াজান স্পারে দোকান করি। ঈদের দিনসহ তিন দিন প্রচুর বিক্রি হয়।”

বেলুন বিক্রেতা হাসেম বলেন, “ঈদে যমুনার তীরে মেলার মতই আয়োজন হয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাবার সাথে আসে। তারা বেলুন কেনে। মেলার চেয়েও বেশি বিক্রি করি।”