কুরবানি ঈদের আর একদিন বাকি। ফলে শেষ সময়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বেড়েছে।
এদিন বৃষ্টির মধ্যে গাদাগাদি করে ঝুঁকি নিয়েই উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণের ঘরমুখোরা।
এদিকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৫ টি ফেরি ও ৮৭ টি লঞ্চ দিয়েও কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
শ্রাবণের বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়েই লোকজন ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে পারাপারের জন্য। ঘাটে ফেরি বা লঞ্চ আসতে দেখলেই হুড়োহুড়ি করে সবাই সেদিকে ছুটছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়ায় যানবাহনের চাপ এড়াতে তিনটি ফেরি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। আর যাত্রীদের অধিকাংশই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে পারাপারে প্রাধান্য দেওয়ায় শিমুলিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। সকাল থেকে শতশত বাস ও মাইক্রেবাস ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় ফেরিগুলে বাংলাবাজার পৌঁছাতে দ্বিগুণ সময় লাগছে বলে বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা জানান।