সোমবার গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে কোরআন খতম, দোয়া ও কবর জিয়ারতের আয়োজন করা হয়।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সকাল ১০টায় নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্থানীয় সাতটি মসজিদের ইমাম, স্যারের কিছু ভক্ত ও হিমু পরিবহনের কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
এর আগে নুহাশ পল্লীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরআন তেলোয়াত করা হয় জানিয়ে বুলবুল বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তদের আগমন সীমিত করা হয়েছে।
২০১২ সালে ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ুন আহমেদ মারা যান। তাকে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে লিচুতলায় কবর দেওয়া হয়েছে।
প্রয়াত এ লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে এবার এই দিনটি সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে।
তবে সড়কে যানজটের কারণে শাওন গাজীপুরে নুহাশ পল্লীতে অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি।
তিনি বলেন, হুমায়ুন আহমেদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এবং কবর জিয়ারত, দোয়া ও কোরআন খতমের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে তিনি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রওনা হন। কিন্তু তীব্র যানজটের কবলে পড়ে তিনি সকাল ১০টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় পৌঁছান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে বাসায় ফিরে যান।