ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্ত

কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা গ্রাস করেছিল বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াকেও, সমর্থকদের সংঘাত এড়াতে মাঠে ছিল পাঁচশ পুলিশ। তবে খেলা শেষে আপাতত সব সুনসান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2021, 08:00 AM
Updated : 11 July 2021, 10:13 AM

বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৯৩৭ সালের পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে প্রথমবার ব্রাজিলকে হারাতে পারল লিওনেল মেসির দল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোথাও আনন্দ মিছিলের খবর আমরা পাইনি। আমাদের পুলিশ সদস্যরা ভোর থেকেই তৎপর রয়েছেন। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”

পুরো বাংলাদেশের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফুটবলপ্রেমিরাও ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা দুই শিবিরে বিভক্ত। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে লাতিন আমেকিরার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরটি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনা একটু একটু করে বাড়ছিল।  

এর মধ্যে গত ৬ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নে খেলা নিয়ে তর্কের জেরে দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এই প্রেক্ষাপটে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল ঘিরে সমর্থকরা যেমন টেনশনে ছিলেন, পুলিশের উৎকণ্ঠাও কম ছিল না। সংঘাত এড়াতে শহরে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা।

প্রায় পাঁচশ পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সবাইকে ঘরে বসে খেলা দেখার আহ্বান জানানো হয়। খেলার পর আনন্দ মিছিল এবং পটকাবাজি ফুটিয়ে উল্লাস না করার বিষয়েও সতর্ক করা হয় সবাইকে। এবার কোথাও বড় পর্দায় খেলা দেখার আয়োজনও পুলিশ করতে দেয়নি।

রোববার রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে মহারণের মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই দলের সমর্থকরা শান্তই ছিলেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক।

আর্জেন্টিনার সমর্থকরা নিষেধ না মেনে শহরের কয়েক জায়গায় খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল বের করলেও পুলিশের ভয়ে তারা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যেতে পারেননি। হারের পর ব্রাজিল সমর্থকদের কোনো তৎপরতা শহরে চোখে পড়েনি।

দিনের প্রথমভাগ শান্তিতে কাটলেও সতর্কতায় ঢিল দেয়নি পুলিশ। সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে জেলার সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক রাখা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন জানান।