মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, মহামারী শুরুর পর এটিই জেলার একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এছাড়াও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০৩ জন।
সিভিল সার্জন বলেন, “চলতি মাসে ঠাকুরগাঁও জেলায় সংক্রমণের এতই অবনতি হয়েছে যা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। সংক্রমণ ঠেকাতে আরও কঠোর হতে হবে, অন্যথায় খুবই খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে।”
চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া এ আটজনের মধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলায় ৩ জন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ২ জন, সদর উপজেলায় ১ জন, হরিপুর উপজেলায় ১ জন এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন রয়েছে। এদের বয়স ৩৮ বছর থেকে ৬৭ বছরের মধ্যে।
এর আগে গত ২৬ জুন ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ নমুনাগুলো দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, ঠাকুরগাঁওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জিন এক্সপার্ট পরীক্ষা এবং সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, নতুন শনাক্ত ১০৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ৯ জন, রানীশংকৈলে ১৯ জন, হরিপুরে ৪ জন এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৪ জন রয়েছেন।
এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৩ থেকে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষআ করে প্রশাসন। তবে সাদালন মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে।