ভোলায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে মার খাওয়ার অভিযোগ

ভোলায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় এক দিনমজুরকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া এবং পরে রাস্তায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2021, 05:25 PM
Updated : 28 June 2021, 05:25 PM

লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দিনমজুর মো. ফারুকের অভিযোগ।

তবে লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান বিষয়টি নিজে তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন।

দিনমজুর মো. ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি একজন দিনমজুর। করোনাভাইরাসের মহামারীতে কাজ না থাকায় অনেক অভাব-অনটন দিন কাটছে।

তিনি বলেন, তার কষ্ট দেখে এক প্রতিবেশী গত শুক্রবার [২৫ জুন] ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তার জন্য খাদ্য সহায়তা চান। এরপর লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফোন করে তাকে পরিষদে আসতে বলে।

“কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আমাকে চাল না দিয়ে উল্টো ৩৩৩ নম্বরে কল করায় শাসানো হয়। চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম; ওই সময় কয়েকজন এসে আমাকে ৩৩৩ নম্বরে কল কেন দিয়েছি বলে মারধর করে চলে যায়।”

এই ব্যাপারে লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ১০/১৫ দিন আগে ফারুককে ৮০ কেজি জেলে চাল দেওয়া হয়েছে এবং তাকে আরও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

“ফারুককে মারধর  তো দূরের কথা, কেউ শাসাইনি। আর তাকে কেউ মারধরের প্রশ্নই আসে না। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ফারুককে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য।”

লালমোহন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আল নোমান বলেন, “আমাদের কাছে ফারুকের খাদ্য সহায়তার এসএমএস আসলে আমি চেয়ারম্যানকে সহায়তার জন্য বলি। আজ সোমবার [২৮জুন] বিকালে শুনেছি ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় তাকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।” 

তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল ফারুকের সাথে আমি কথা বলব। বিষয়টি আমি নিজেই তদন্ত করব।”