কুড়িগ্রামে ‘চাঁদা না পেয়ে’ পাউবো কর্মচারীদের উপর হামলা

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন রোধের প্রকল্পের কাজে ‘চাঁদা না দেওয়ায়’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2021, 03:35 PM
Updated : 26 June 2021, 03:35 PM

শনিবার সকালে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় স্লুইচ গেইটে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত বোর্ডের  কার্য সহকারী সরাফাত আলী (৫২), শ্রমিক শামসু মিয়া এবং আব্দুস ছালাম কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, চাঁদাদাবি এবং সরকারি কর্মচারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহজামাল, আজিজুল ইসলাম, এরশাদুলসহ অজ্ঞাত ৭/৮জনের নামে সদর থানায় এ অভিযোগ করেন।

প্রকৌশলী আরিফুল বলেন, “আজিজুল ইসলাম ও তার স্বজনরা ৫ লাখ টাকা চাঁদাসহ প্রতিটি নৌকায় জিও ব্যাগ পরিবহনের জন্য আলাদাভাবে একশ টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরেণের ঘটনা ঘটায়।”

অভিযুক্তরা একই পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে তিনি জানান, হামলাকারীরা এর আগেও সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও কর্মচারীদের উপর হামলা চালিয়েছিল।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ধরলা নদী ভাঙন রোধে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের মোড় থেকে ভাটলার পাড় স্লুইচ গেইট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় তীর সংরক্ষণ কাজ চলছিল। এ ঠিকাদারী কাজের দায়িত্বে রয়েছে রংপুরের ‘কেকে আর ইউবি’ নামের প্রতিষ্ঠান।

গত মে মাসে কাজ শুরুর পর থেকে স্থানীয় শাহজামাল, আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলগং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিটি জিও ব্যাগ পরিবহনের জন্য নৌকা বাবদ একশ টাকাসহ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।

শনিবার ওই সন্ত্রাসী চক্রটি চাঁদার দাবিতে আবার ভাটলার পাড় স্লুইচ গিইট এলাকায় গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী সরাফাত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে, সন্ত্রাসীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের নির্দেশে শাহজামাল ও এরশাদুলগংসহ ৭/৮জন হামলা চালিয়ে তাকে বেদমভাবে মারপিট করে।

তাকে বাঁচাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক রানা মিয়া, শামসু মিয়া ও আব্দুস ছালাম এগিয়ে আসলে তাদের উপরও নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয় বলে মামলায় বলা হয়েছে।