গাইবান্ধার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

গাইবান্ধার কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১০ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের নামে ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং সোয়া এক লাখ মেট্রিক টন গম আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2021, 03:04 PM
Updated : 22 June 2021, 03:04 PM

পলাশবাড়ী উপজেলার ওই ইউনিয়নের জাইতর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হক গত সোমবার গাইবান্ধা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।

আসামিরা হলেন, কিশোরগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু এবং ১০ ইউপি সদস্য মমতাজ আলী, রেজাউল, মতলুবর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, নওশা মিয়া, রঞ্জনা রাণী মহন্ত, অহেন্দ্র নাথ সরকার, ইউপি সদস্যা এমিলি খাতুন ও মোছা. মেনেকা।

আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক রংপুর বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) মামলাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান।

তিনি জানান, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এবং প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।  

মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আসামিরা ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছর পর্যন্ত অতিদরিদ্র কর্মসূচি, কাবিখা ও কাবিটা, টিআর ও আরও অন্যান্য প্রকল্পসহ ১৩২টি প্রকল্পের ২১ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮০ টাকা এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন গম আত্মসাৎ করেছেন।

“শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা অতিদরিদ্র কর্মসূচির আওতায় শ্রমিকদের নামের তালিকায় নিজস্ব লোকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।”

মামলার বাদী জিয়াউল হক বলেন, “মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে এই ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে না। এ কারণে একই ব্যক্তি দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগে ইউপি চেয়ারম্যান তার পরিষদের সদস্যদের সাথে নিয়ে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাই জনস্বার্থে এই মামলা দায়ের করা হয়।”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কিশোরগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ এই মামলা দায়ের করেছে।”