নাম তার নবাব, মালিক দাম হাঁকছেন ৯ লাখ

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সাহিওয়াল জাতের একটি ষাঁড়ের দাম নয় লাখ টাকা হেঁকেছেন শরীয়তপুরের গৃহবধূ হাবিবুন্নেসা।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2021, 08:33 AM
Updated : 22 June 2021, 08:39 AM

২৪ বছর বয়সী এই গৃহবধূ জেলার নড়িয়া উপজেলার কোব্বাস মাদবরের কান্দি গ্রামের নূর মোহাম্মদ ঢালীর মেয়ে এবং ইসমাইল মাদবরের স্ত্রী।

হাবিবুন্নেসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ষাঁড়টির ওজন ১৮ মণ, দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। পশু চিকিৎসদের সহযোগিতায় ডিজিটাল স্কেলে ওজন মেপে দেখেছি।”

এ বছরই গরুটি বেচার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “নয় লাখ টাকা দাম চাইছি। এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে ছয় লাখ টাকার কমে বিক্রি করব না।”

হাবিবুন্নেসা বলেন, ২০১৭ সালে ৫০ হাজার টাকায় একটি গাভি কিনে পালন শুরু করেন তার বাবা। পরের বছর সাহিওয়াল জাতের ষাঁড়ের মাধ্যমে শংকরায়ণে গাভিটির একটি বাছুর হয়।

“সেই বাছুরটি আমি বাবার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় কিনে আনি। আদর করে তার নাম রাখি নবাব। আমার খুব আদরের নবাব। যত্ন করে লালন-পালন করছি। সরকারি পশু বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে খাবার-দাবার দিই এবং অন্যান্য পরিচর্যা করে থাকি। এখন এটি শরীয়তপুরের সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে অনেকের কাছে শুনেছি।”

নড়িয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, তার জানামতে শরীয়তপুরের অন্য কোথাও এত বড় ষাঁড় নেই। তিনি ষাঁড়টির খোঁজখবর নিচ্ছেন।

“এর মালিক হাবিবুন্নেসা একজন সফল উদ্যোক্তা,” বলেন তিনি।

হাবিবুন্নেসার স্বামী ইসমাইল মাদবর মালয়েশিয়ায় চাকরি করেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি এসেছেন।

ইসমাইল বলেন, “এ ধরনের গরু লালন-পালন খুবই কষ্টকর। আমি মালেশিয়া থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী নবাবকে লালন-পালন করেছেন। নবাবকে আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মতই সবাই মিলে যত্ন নিয়ে বড় করেছে। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। নয় লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।”

নবাবের খাদ্যতালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া ও ছোলা। সব মিলিয়ে নবাব প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি খাবার খায় বলে তিনি জানান।

জপসা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নূরজামাল মাদবর বলেন, হাবিবুন্নেসা নবাবকে লালন-পালন করে বড় করেছেন। এই কোরবানিতে গরুটি বিক্রি করবেন। এর দাম ধরা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। এখনই পাইকাররা দাম বলছেন চার লাখ টাকা।

“এত বড় গরু আমি আগে কখনও দেখিনি,” বলেন তিনি।