রোববার বেলা ৩টার দিকে নগরের কয়েরদাঁড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ভবনের নিচতলায় রাখা তিনটি প্রাইভেট কার চাপা পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, এক বছর আগে চারতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপর ওপরে আরেক তলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল। সে সময় ভবনটির মালিক আক্তারুজ্জামান বাবলু মারা যান। এরপর ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
রউফ জানান, ঘটনার পরপরই রোববার বেলা ৩টা ৫ মিনিটে তারা ফোন পান। তারা পৌঁছে দেখেন পুরো ভবনটি ভেঙে পড়েছে। ভেতরে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ভবনের নিচতলায় তিনটি প্রাইভেট কার এবং কয়েকটি ভ্যান চাপা পড়েছে।
তিনি বলেন, “পায়ের আঘাতেই ছাদের কংক্রিট ভেঙে যাচ্ছে। প্রাচীরে ইটভাটার তিন নম্বর ভাঙারি ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। রডগুলোও মনে হচ্ছে পুরোনো। তাই ভবনটি ভর ধরে রাখতে পারেনি।”
ভবনের মালিকের ছোট ভাই নুরুজ্জামান জানান, ভালো মানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়েছিল। ভবন আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু কেউ থাকত না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) কাছ থেকে এ ভবনের নকশার অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল।