সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলার (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী সাংবাদিকদের বলেন, রোববার রাতে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শাহজালাল (১৯) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার হারুলিয়া গ্রামে নাজমুল হোসেন (১৭) ও রায়হান (১৭) নামে দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাজমুল হোসেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম শেওরা গ্রামের নেছার মোল্লার ছেলে এবং রায়হান একই এলাকার রতন খানের ছেলে।
রায়হান হেমায়েতপুরের যাদুরচর গ্রামে বাবা-মার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় আল নাসির ল্যাবরেটরি স্কুলে লেখাপড়া করতেন। তিনি এবার এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিলেন। রায়হান ও নাজমুল সম্পর্কে আপন খালাত ভাই।
পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই তাদের ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরও জানান, গ্রেপ্তার শাহজালাল নিহত রায়হানের আপন ফুফাতো ভাই। তিনি আগে রায়হানদের বাসায় থাকতেন। সেই সময়ে পারিবারিক বিভিন্ন কারণে মনোমালিন্য হলে রায়হানের বাসা থেকে শাহজালাল অন্যত্র চলে যান।
“সেই ক্ষোভের কারণেই শাহজালাল তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েচেন।”
আব্দুল্লাহ আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শাহজালাল জানিয়েছেন- পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রায়হান ও তার খালাত ভাই নাজমুলকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান শাহজালাল। পরে তার সহকর্মী রবিকে সঙ্গে নিয়ে দুই ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যান।
পরিবারের বরাত দিয়ে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবারই নাজমুল বরিশাল থেকে খালার বাড়ি সাভারের হেমায়েতপুরের যাদুরচরে বেড়াতে আসেন। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রায়হান ও নাজমুল বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরে আর বাসায় ফেরেননি তারা। পরদিন সকালে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাদের শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজালালের পরিহিত প্যান্ট এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে বলেও জানান এসআই শাহ আলম।
সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতেই নিহত রায়হানের মা মোসা. খাদিজা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দূস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার শাহজালাল ও পলাতক রবিকে আসামি করা হয়েছে।