টাঙ্গাইলে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ, ভাংচুর

টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর রোগীর স্বজনরা ভাংচুর করেছেন।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2021, 05:37 PM
Updated : 2 June 2021, 05:37 PM

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হুগড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর-ই-খোদা রায়েজ এই হাসপাতালে মারা যান।

এই ঘটনায় রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাল্টপাল্টি হামলার অভিযোগ করেছেন।

প্রয়াতের ছেলে আতিকুর রহমান ইমরান অভিযোগ করেন, তার বাবাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না দিয়ে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়।

“পরে তার অবস্থার অবনতি হলে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। পরে কর্তব্যরত নার্স একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।”

তিনি জানান, চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ আত্মীয়-স্বজন হাসপাতালের একটি কক্ষের দরজার কাঁচ ভাঙচুর করলে কিছুক্ষণ পর আরএমও ডা. সজিব দলবল নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তার সামনেই ডা. সজিব দলবল নিয়ে রোগীর স্বজনদের মারপিট করেন। এক পর্যায়ে রোগীর স্বজনরা মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে আরএমও তাদের বাধা দেন।

এই ঘটনায় থানায় মামলা হতে পারে বলে জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের টাঙ্গাইল জেলা সাধারণ সম্পাদক রাসেদ খান মেনন বলেন, “খবর পেয়ে আমি ও অন্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় রাত ১টায় মরদেহ নিয়ে আসি।”

তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় হওয়ায় ডা. সজিব হাসপাতালে একের পর এক অপকর্ম করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে ডা. সজিব বলেন, “ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা সকালে ভর্তি হন; অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে এই হাসপাতালেই রাখেন। চিকৎসা চলা অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।”

এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয়-স্বজন এক নার্সকে মারধর করেন এবং হাসপাতালে ভাঙচুর চালান অভিযোগ করে সজিব বলেন, “খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে রোগীর স্বজনরা আমার ওপরও হামলা চালায়।”