মাদারীপুরে ভ্যানচালক হত্যায় তিন জন গ্রেপ্তার

মাদারীপুরের রাজৈরে সালাম শেখ হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন রাজৈর উপজেলার উত্তর হোসেনপুরের ছলেমান খালাসীর ছেলে সরোয়ার খালাসী (৬০), মোস্তফা মুন্সীর ছেলে ছেরজান মুন্সী (৪৫) ও এলাজ উদ্দিনের ছেলে রিপন মুন্সী (৪৭)।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, গত ২৩ মে [রোববার] রাত ৯টার দিকে ভ্যানচালক সালাম শেখকে চান্দেরবাজার এলাকায় কুপিয়ে পালিয়ে যায় একদল হামলাকারী।

উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এরপর নিহতের স্বজনরা ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার পরদিন ৪১ জনকে আসামি করে নিহতের চাচাত ভাই হেমায়েত শেখ বাদী হয়ে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এসপি বলেন, ঘটনার সাত দিনের মাথায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে সরোয়ার খালাসী ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে, একটি জোড়া খুনের ঘটনা আড়াল করতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ২৩ মে ভ্যানচালক সালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য।

এই বিষয়ে এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল সংসাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি জুলফিগার খালাসী ও বাবুল মুন্সী নামে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় জুলফিগার খালাসীর ভাই শহিদ খালাসী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে ৮৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। সাম্প্রতি এই মামলার বেশ কয়েকজন আসামি জামিনে বেরিয়ে আসে।

“পরে এই জোড়া খুনের ঘটনা আড়াল করতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ২৩ মে ভ্যানচালক সালামকে কুপিয়ে হত্যা করে তারই লোকজন।”

হোসেনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আয়নাল শেখের সঙ্গে একই এলাকার ইউপি সদস্য আতিক মাদবরের দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

২০২০ সালের ১০ জানুয়ারিতে নিহত জুলফিগার খালাসী ও বাবুল মুন্সী ছিলেন আতিক মাদবরের সমর্থক এবং ২০২১ সালের ২৩ মে নিহত ভ্যানচালক সালাম আওয়ামী লীগ নেতা আয়নালের চাচাত ভাই।