শুক্রবার সকালে কালিয়ার নড়াগাতী থানার নিধিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতে গ্রামবাসী ১৭/১৮ বছর বয়সী এই ইমামকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার স্থানীয় মসজিদের এই ইমামের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলায়।
নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা মামলার বরাতে জানান, এই ইমাম দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর মক্তবে শিশুদের পড়াচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে মসজিদের পাশে বসবাসকারী ওই শিশু অন্য শিশুদের সঙ্গে মক্তবে পড়তে যায়।
“পড়া শেষে ইমাম অন্যদের ছুটি দিয়ে ছয় বছর বয়সী ওই শিশুকে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে মসজিদ সংলগ্ন তার থাকার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর শিশুটির হাতে ১০ টাকার একটি নোট দিয়ে কিছু কিনে খেতে বলেন এবং ঘটনাটি কাউকে বলতে নিষেধ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।”
মামলায় আরও বলা হয়, মেয়েটি ‘রক্তাক্ত’ অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে তার বাবা ও মাকে জানালে তারা মসজিদে যান। ইমামকে না পেয়ে স্থানীয়দের জানান এবং ইমামকে খোঁজাখুঁজি করে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে শিশুটি বাবা এই ইমামের বিরুদ্ধে নড়াগাতি থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মশিউর রহমান বাবু বলেন, মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরীক্ষা করার পর এই বিষয়ে বলা যাবে।