রোববার ২০ বছর বয়সী এই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার বাবা।
এই ঘটনায় সোমবার তিনি মেয়ের স্বামী সাইফুল ইসলাম (২৮ ) ও শ্বশুর [সাইফুলের বাবা] আলম মণ্ডলের বিরুদ্ধে কালাই থানায় মামলা করেছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, ২০১৪ সালে মহাইল-শান্তিনগর গ্রামের সাইফুলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উদয়পুর বাসিলা গ্রামের এই মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবিসহ নানা কারণে গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শ্বশুর।
তাদের প্রতিবেশী তইমা খাতুন, শামিম হোসেন, মঞ্জুয়ারা ও উদয়পুর বাসিলা গ্রামের আব্দুর রশিদ, এরশাদসহ এলাকাবাসীরা জানান, বিয়ের সময় মেয়েটির বাবা দরিদ্র হয়েও সাইফুলকে যৌতুক হিসেবে ২০/২৫ হাজার টাকা, খাট, শো-কেস, আলমারিসহ নানা আসবাবপত্র দিয়েছিলেন। তারপরও তদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি চলছিল।
গৃহবধূর অভিযোগ, সাইফুল জুয়া খেলেন আর শ্বশুর নেশা করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেই নির্যাতন চলে তার উপর। ঈদের পরদিন শনিবার যৌতুকের দাবি করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
“তখন আমার স্বামী সাইফুল ও শ্বশুর আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকে। আমি মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে সাইফুল জুতা পায়ে আমার মুখ ও চোয়ালে লাথি মারতে থাকে; আর শ্বশুর শাবল দিয়ে কোমর ও পায়ে আঘাত করে। আামি অজ্ঞান হয়ে পড়ি; পরে হুঁস ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।”
কালাই থানার ওসি সেলিম মালিক জানান, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।