বুধবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় যা অনেক বেশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার-বিআইডব্লিউটিসি জানায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌ-পথে ১৭টি ফেরি রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সরকারি নির্দেশে কয়েকদিন ধরে ৪/৫টি ফেরি শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী যান পারাপার করছিল। শুক্রবার থেকে ঈদে ঘরমুখী যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ে। মঙ্গলবার পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য কারখানা ছুটির কারণে পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ আরও বাড়ে।
তাই যাত্রী ভোগান্তি বিবেচনায় রেখে সব ফেরি চালু করা হয় বলে বিআইডব্লিউটিসি জানিয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে ঢাকা ও আশপাশ এলাকা থেকে হাজারো ঘরমুখো যাত্রী পাটুরিয়া ঘাটে ভিড় করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। ঘাটে আসার পর এসব যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ফেরিতে উঠছেন।
এছাড়া ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত বিভিন্ন ছোট গাড়ির চাপও দেখা গেছে।
ঘাট এলাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের শিবালয়ের টেপড়া এলাকায় এসব গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। টেপড়া-নালী সড়ক হয়ে সরাসরি পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটে এসব গাড়ি ভিড়ছে। তবে এই সড়কে দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়েছে অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি।
বিআইডব্লিউটিসি'র আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান বলেন, বুধবার সকাল থেকেই গাট এলাকায় যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এসব যাত্রীর ভোগান্তি বিবেচনা করে সব ফেরি চলাচল করছে।
বুধবার সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। এতে ধীরগতিতে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে মহাসড়কের কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে মানিকগঞ্জের পুখুরিয়া থেকে টেপড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়ে বিভিন্ন যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
তবে বেলা ১১টার দিকে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবুল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং মহাসড়কে প্রশস্তকরণের কাজের কারণে যানবাহন চলাচল ধীরগতিতে হচ্ছে। তাছাড়া যানবাহনগুলোর আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে সাময়িক যানবাহনের সারির সৃষ্টি হয়।
তবে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যরা কাজ করায় পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে বলে তিনি জানান।