ওই নারীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। এরআগে সোমবার দুপুরে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হলে সন্ধ্যায় রিপোর্টে ওই নারী পজিটিভ আসে।
গত ৭ মে ভারত থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, “ভারত থেকে ফেরার ৭২ ঘণ্টা আগে ওই নারীর করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। ফলে তিনি বাংলাদেশে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ফিরতে পেরেছেন। স্থলবন্দরেও তার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।”
তিনি জানান, ভারত থেকে ফেরার পর ওই নারীসহ যারা হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে আছে তাদের সোমবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ওই হোটেলে অবস্থান করা সবার করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসলেও ওই নারীর পজিটিভ এসেছে।
তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে হোটেলের সবাইকে পুনরায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে বলেন তিনি।
মঙ্গলবার ভারত থেকে আসা ওই নারী বলেন, “আমি একাই চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফেরার অনুমতি পাচ্ছিলাম না বলে ফিরতে দেরি হয়েছে। আসার ৭২ ঘণ্টা আগে টেস্টে নেগেটিভ আসে।
“দেশে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার তিনদিন পর আমার পজিটিভ এসেছে কিন্তু আমার করোনা আক্রান্তের শারীরিক কোন লক্ষ্মণ নেই, ভালো আছি।”
সম্প্রতি ভারতে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীদের যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু দুদেশের আটকে পড়া নাগরিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে নিজেদের দেশে ফিরতে পারছেন।