কোথাও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়।
বেনাপোল, নাভারন, শার্শা ও বাগআচড়ায় একইভাবে চলছে ঈদের কেনাকাটা।
সরেজমিনে বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেট, নূর শপিং কমপ্লেক্স, রহমান চেম্বার, শাহজাহান মার্কেট, ডাব্লু মার্কেট, হাজি মোহাম্মদ উল্লাহ মার্কেট, হাইস্কুল মার্কেট, হিরা সুপার মার্কেট, নাভারনের নিউ মার্কেট, তালেব প্লাজা, সোনালী মার্কেট, বাগআচড়ার নিউ মার্কেট, আঁখি টাওয়ার, সুফিয়া প্লাজা, বাবু মার্কেট প্রভৃতিতে ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কাই করছে না।
দুই মেয়েকে নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরের বারোপোতা গ্রাম থেকে গৃহবধূ শামীমা আক্তার (৪০) নাভারন এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
শামীমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইচ্ছে করেই বাচ্চাদের সংগে আনতি হয়েছে তাদের পছন্দের পোশাকটি কেনার জন্য। প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। তবে এবার একটু দেরি হয়ে গেল। সব ধরনের কাপড়ের দাম গেল বছরের চেইতে এবার অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।”
বাগআচড়া বাজারে কালিয়ানী গ্রামের লতা বেগম (৫৫) বলেন, “শুনছি আবার সব বন্ধ হয়ে যাবে; তাই তাড়াহুড়ো করে আইছি। মাস্ক কী হবে, নেকাবে মুখ তো বান্ধা আছে। অনেকের তো তাও নেই। আর এক দিনে কী হবে?”
বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেটের ‘আর ফ্যাশন কর্নারের’ মালিক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, “ঈদ বাজার দুদিনেই জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভিড় এড়াতে মার্কেটে আসা মানুষের দূরে দূরে থাকতি বলছি; হ্যান্ড সেনিটাইজার দিচ্ছি; কিন্তু কিডা শোনে কার কথা!”
বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক পরিধান ছাড়া অন্যসব নিয়মই যেন লাপাত্তা। দোকানের সামনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ডিসট্যান্স মার্কিং নেই। বিক্রেতারা ব্যস্ত বিক্রি নিয়ে। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক আছে কি না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে কি না, তা দেখার জন্য মার্কেটগুলোতে কোনো ব্যবস্থা নেই। কোথাও ঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে।
"আমরা যতক্ষণ থাকছি ততক্ষণ সবাই আইন মানছে। চলে আসলেই যা তাই। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যেভাবে মানুষজন বাজারঘাটে চলাফেরা করছে এতে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।