বৃহস্পতিবার জেলার বিচারিক হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সৌরভের (২০) জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গত ২৪ মার্চ রাতে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে একটি সালিশে কথাকাটাকাটির জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমন পাঠান, সাকিব ও আওলাদ হোসেন মিন্টু নিহত হন।
ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি সৌরভকে (২০) বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়। সৌরভ জেলা শহরের ইসলামপুরের জামাল হোসেনের ছেলে।
এই মামলায় আরও নয় জন গ্রেপ্তার আছেন, যাদের মধ্যে সৌরভের বাবা জামাল হোসেনও আছেন।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মোজাম্মেল হক জানান, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঁদপুরে গাঁজা ক্রয় করার সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে মুন্সীগঞ্জ নিয়ে আসা হয়।
তিনি বলেন, “প্রধান আসামি সৌরভের স্বীকারোক্তির আলোকেই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্যসহ অপরাধীদের চিহ্নিত করা হবে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদরের ইসলামপুরে গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সালিশ হয়। সেখানে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইসলামপুরের ইমন পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান সাকিব। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পৌর কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের পরই তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে এজাহার নামীয় আরও সাত জনকে গ্রেপ্তার করে।
এখনও পলাতক আছেন ‘সৌরভের সহযোগী’ সিহাব ও শামীম।