আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
তবে ওলিয়ার রহমানকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান ওসি ওয়াহিদুজ্জামান।
ওলিয়ার রহমান আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ওসি ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “শুক্রবার রাতে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিবির একটি দল ওলিয়ার রহমানকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
“ওলিয়ার রহমানকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। যতটুকু জানি মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।”
ওলিয়ার রহমানের স্ত্রী শিরিনা বেগম বলেন, “রাতে ওসি সাহেব ও থানার লোকজন এসে উনাকে (ওলিয়ার রহমান) নিয়ে গেছেন। কী কারণে নিয়ে গেছেন জানি না।”
গত ১২ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এক নোটিসে ওলিয়ার রহমানকে কেন বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয় সাত দিনের মধ্যে। ১৯ এপ্রিল ওই সাত দিন পার হয়। এই প্রেক্ষাপটে ২১ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সভায় ওলিয়ারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নারীসহ ঘেরাও করা হয়। ওই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। তখন হেফাজত নেতা মামুনুল হক তাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন।
গত রোববার হেফাজতের এই নেতাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।