হেফাজত নেতা মামুনুলের ‘দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার বাবাকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার’

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

ফরিদপুর প্রতনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2021, 01:32 PM
Updated : 22 April 2021, 01:32 PM

বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান জানান, আগের দিন বিকেলে দলের ইউনিউয়ন কমিটি সভায় জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওলিয়ার রহমানকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাবেক সেনা সদস্য ওলিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

ওই সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়াও হয়।

মোনায়েম খান জানান, ওলিয়ার রহমানকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, জানতে চেয়ে ১২ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল ওই সাত দিন পার হয়।

“এই প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সভায় ওলিয়ারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজা মিয়া, খান আমিরুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

পরে মোনায়েম খান বলেন, “ওলিয়ারের মধ্যে কখনো নিজের দল বাদ দিয়ে অন্য দলের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। কিন্তু তিনি সভাপতি থাকলে এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন আদর্শের হলে দলের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

“এছাড়া তার কারণ দর্শানোর জবাব দলের হাতে পৌঁছায়নি।”

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদউদ্দিন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছিল, ওলিয়ারের মেজ মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার স্বামী মামুনুল হক উগ্রপন্থি ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এবং ওলিয়ারের স্ত্রী জামায়াতপন্থি।

এ ব্যাপারে মো. ওলিয়ার রহমানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে তার স্ত্রী শিউলী বেগম বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। ওলিয়ার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা। তাকে নিয়ে সন্দেহ করার সুযোগ নেই।”