নওগাঁর নজিপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তার করা আসামীর নাম মো. ইয়াছিন মোল্যা (২৩)।
বুধবার সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন গ্রেপ্তারের এই তথ্য জানান।
সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মামলার আরো দুই আসামী হেমায়েত শেখ (৩৫) ও বশির শেখকে (২৫) গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ঘটনার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর থানার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কদমপুর গ্রামে তিন ব্যক্তি একটি ফাঁকা বাড়িতে প্রবেশ করে। বাইরে থেকে মেয়েলি কণ্ঠে ডাক দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে এবং দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ঘরে থাকা নগদ নয় হাজার টাকা নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার ইয়াছিন মোল্যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‘ধর্ষণের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ইমাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ইয়াছিন মোল্যাকে শনাক্ত করে মঙ্গলবার বিকেল চারটায় নওগাঁর নজিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেনের দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর অভিযান তত্ত্বাবধান করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।