তরুণী সোমবার রাতে বরিশাল বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানিয়েছেন।
জসিমউদ্দিন প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন।
বরিশাল সিটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই তরুণী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, জসিমউদ্দিনের সঙ্গে তার আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তরুণীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন জসিম। এ সময় তরুণীর পরিবারের অন্য কোনো সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। তার গর্ভপাত করানো হয়। কিন্তু বিয়ের কথা বললে সময় ক্ষেপণ করেন জসিম এবং গত ৫ এপ্রিল আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। তাকে বিয়ে না করে রোববার অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন জসিম।
এরপর তরুণী সোমবার আইনের আশ্রয় নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
জসিমউদ্দিন প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “ওই তরুণী আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নানা কারণে মতের মিল না হওয়ায় সেই সম্পর্ক টেকেনি।
“আমি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা ওই তরুণীকে হাতিয়ার বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”
পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে এখনও মামলা নেয়নি।
ওসি কমলেশ বলেন, “অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তীতে মামলা নথিবদ্ধ করাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”