নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোস্ট গার্ড সদস্যরা তাদের আটক করেন।
রোববার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল সাবিত আল হাসানকে শহরের কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ডুবে যায়। লঞ্চের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ থাকেন অনেকে। পরে ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে লঞ্চ ডুবিয়ে ৩৪ যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
ডিসি মোস্তাইন বলেন, লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া কোস্টগার্ড স্টেশনের কাছে গিয়ে নোঙ্গর করেছিল এসকেএল-৩ নামের জাহাজটি।
“সেখান থেকে জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ১৪ নাবিককে আটক করেছেন নারায়ণগঞ্জের কোস্ট গার্ড সদস্যরা।”
ডিসি বলেন, “এই সময়ের মধ্যে তারা জাহাজটির রং পরিবর্তন করে ফেলেছে। আটককৃতরা লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের নৌপুলিশে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।”