নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারি রোববার রাতে এই তথ্য জানান।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে ‘সাবিত আল আসাদ’ নামের এই লঞ্চ ডুবে যায় বলে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন জানান।
আহতদের বরাত দিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, “লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল।”
মোবারক হোসেন বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এলাকায় এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়।
তিনি বলেন, লঞ্চের অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠেছে। কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর নৌ পুলিশের এসআই ইউনুস মুন্সী বলেন, লাইটার জাহাজ থেকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ডুবে যায়। অনেক যাত্রী সাতঁরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, তিনজন ডুবুরি নামানো হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে বেশকিছু হতাহত কিংবা নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এবং এর আশপাশে ভিড় করেছেন।