রাজশাহীর সড়কে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার

রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হানিফ পরিবহনের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2021, 10:38 AM
Updated : 27 March 2021, 12:38 PM

শনিবার বেলা ২টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার মাহিন্দ্র বাইপাস থেকে আব্দুল রহিমকে গেপ্তার করা হয় বলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান।

গ্রেপ্তার আব্দুল রহিম পজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

গোলাম রুহুল বলেন, শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় হানিফ বাসের চালকের বিরুদ্ধে কাটাখালি থানার এসআই নুর মোহাম্মদ মামলা করেন। মামলায় ১৭ জনকে হত্যা ও কয়েকজনকে জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলায় আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগার থেকে নিহত ১৭ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে শুক্রবার দুপুরে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মাইক্রোবাসে আগুন লেগে যায়। এতে মাইক্রোবাসের ১৭ যাত্রী পুড়ে মারা যান। ওই মাইক্রোবাসে ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। আহত পাভেল (২৭) নামের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- রংপুরের পীরগঞ্জের ডারিকাপাড়া গ্রামে পাভেলের বাবা মোখলেসুর রহমান (৪৫), মা পারভীন বেগম (৪০), রাঙ্গামাটি গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন (৩৬), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (২৫), তাদের ছেলে সাজিদ (৮), মেয়ে সাফা (২), শামসুন্নাহারের বড় বোন কামরুন্নাহার (৩৭), উপজেলা সদরের মো. ভুট্টু (৪০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪০), ছেলে ইয়ামিন (১৫), বড় মজিদপুরের ফুলমিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল (১৫) এবং মেয়ে সুমাইয়া (৮), সাবিহা (৩), দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৪৬) ও মাইক্রোবাসের চালক মো. হানিফ (৩০)।

সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু আসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান।

তিনি বলেন, “নিহতদের দাফনের জন্য প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও লাশ তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”