বগুড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2021, 12:15 PM
Updated : 16 March 2021, 12:15 PM

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক  ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তাকবির ইসলাম খান (আইসিইউ) মারা যান।

তিনি বলেন, “গত ১১ মার্চ রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, হার্টের সমস্যা এবং বুকে আঘাতের কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে।

“পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ধুনট উপজেলায় ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যাওয়ার পথে মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। শহরের জিলা স্কুলের প্রাচীর ঘেঁষে থাকা পার্কিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে; এতে দুই পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাকবিরের সঙ্গে থাকা তার সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, সরকরি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফের নেতৃত্বে তাকবিরসহ অন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

তখন আবদুর রউফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিল, “তুচ্ছ ঘটনার জেরে তাকবিরের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার এবং কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ধাওয়া করেন। এতে হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।”

“এ ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগে সামনে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। আমি প্রত্যাশিত পদ যাতে না পাই, এ জন্যই আমার ওপর হামলার দোষ চাপানো হচ্ছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনার তিনদিন পর ১৩ মার্চ দুই পক্ষের পক্ষ থেকে বগুড়া সদর থানায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদি হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের মামলা করেন।

অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত জনের মামলা করেন। 

ওসি বলেন, তাকদিরের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এ ঘটনার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।