শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার পয়সা গ্রামের প্রয়াত সামাদ দেওয়ানের ছেলে জামাল হোসেন (৫৫) এবং প্রাইভেটকার চালক শার্শার কাজিরবেড় গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৭)।
ওসি বদরুল আলম বলেন, রোগী সেজে মাদক পাচারের গোপন সংবাদে পুলিশ নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের সাতমাইল থেকে একটি প্রাইভেটকার আটক করে।
"গোগা সীমান্ত থেকে আসা ঢাকাগামী ওই প্রাইভেটকারের ভেতর রোগীবেশী জামাল হোসেনের পা ব্যান্ডেজ করা ছিল। পরে ওই ব্যান্ডেজ কেটে ভেতরে ৪৮ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়।"
“পুলিশের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন তার পায়ের ব্যান্ডেজের ভেতর লুকানো আছে ফেন্সিডিল। তখন তাকে এবং প্রাইভেটকার চালককে আটক করা হয়।”
ওসি বলেন, এসব ফেন্সিডিল রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তিনি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন বলে পুলিশকে জানান।
জামাল হোসেনের নামে যশোরের ঝিকরগাছা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।