মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের রেল রোডস্থ ফুড গোডাউনের দক্ষিণ পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন,শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল ইসলাম রবির ছেলে শুভ, তার সঙ্গী রায়হান, সবুজ, হিমেল এবং পিয়া।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি তাজুল ইসলাম জানান, আটক শুভসহ সবার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করা হবে।
এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি চাকু উদ্ধার করাও হয়েছে।
শহরের চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনসপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা রেল রোডস্থ ফুড গোডাউন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানকালে সেখান থেকে তিন সহযোগীসহ শুভকে আটক করা হয়।
পরে তারা জানতে পারেন, এরশাদ আলী নামে এক বৃদ্ধকে চাঁদার দাবিতে একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে শার্টার বন্ধ করে আটকে রেখেছে এই চক্র।
এরপর কোতয়ালি থানা ও সদর ফাঁড়ির পুলিশসহ যৌথ অভিযানে ওই ওয়েল্ডিং দোকান থেকে এরশাদ আলীকে উদ্ধার করেন এবং সেখান থেকে এক নারীকে আটক করেন বলেও জানান তিনি।
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুদিন আগে এরশাদ আলীর কাছ থেকে শুভ দুই লাখ টাকা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এরশাদ আলীকে সন্ধ্যা ৭টায় ধরে ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে নিয়ে আসে দুর্বৃত্তরা। এরপর ওই বৃদ্ধকে এক যৌনকর্মীর সাথে আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করে তারা।
“এ সময় তার কাছ থেকে একটি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় তারা।”
বন্ধ ওয়েল্ডিংয়ের দোকান খুলে বৃদ্ধকে উদ্ধারের সময় ওই নারীকেও পাওয়া যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে স্বাক্ষর করে নেওয়া স্ট্যাম্পটিসহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি নাইন এমএম পিস্তল ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলেন তিনি।
এরশাদ আলী বলেন, শুভ এক মাস আগে তাদের ওয়েল্ডিংয়ের দোকানটি দখল করে নেয়। দুদিন আগে সে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। এরপর সে আরও ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে তাকে ধরে আনে।