বাউফলে শহীদ মিনারে `হাতাহাতির জেরে’ আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে `হাতাহাতির জেরে’ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2021, 05:01 PM
Updated : 21 Feb 2021, 05:01 PM

রোববার সন্ধ্যায় শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন রিকশাস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মঈনুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন একটু বেশি আহত।”

এ আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় বাউফল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ রানা (২৫), মো. আরিফ (২২), মো. সিদ্দিকুল্লাহ (৪৫), মো. মেহেদী (২৭) সহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাবেক চিফ হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসম ফিরোজ এমপি গ্রুপ এবং বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

তারা বলছেন, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাংসদ পক্ষ এবং মেয়র পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুলের তোড়া ভেঙে যায়।

ফুলের তোড়া ভাঙার প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যার পর কুণ্ডুপট্টি এলাকা থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ একটি মিছিল বের করে। পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ফেরার পথে রিকশা স্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলে ‘ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা’ পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলেন তারা।

বাউফল থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের পর মুহূর্তেই এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শহরের রাস্তায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। কাউকে আটক করাও হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।