বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু।
শামসুদ্দিন আহমেদ ছজুর আইনজীবী জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, গোলাম সরোয়ার ফোরকান ২০১৩ সালে তার নিজ নামে এবং তার মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্সের নামে এক বছর মেয়াদে পটুয়াখালীর রুপালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি ঋণ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকায় তার নাম ওঠে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঋণের সব সুদ মওকুফের জন্য তিনি রুপালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় আবেদন করেন। ব্যাংক তার ৮০ শতাংশ সুদ মওকুফ করে। বাকি সুদ এক বছরের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয় ব্যাংক। সেই সুদও তিনি যথাসময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।
জগদীশ বলেন, “ফোরকান তার ঋণখেলাপির এসব তথ্য গোপন করে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। পরে আমার মক্কেল সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু তাকে বিজয়ী ঘোষণা এবং ফোরকানকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন।
“আদালত ছজুর পক্ষে রায় ঘোষণা করেছে। এজন্য ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশের আদেশ দিয়েছে আদালত।”