জেলায় জেলায় প্রথম টিকা নিলেন যারা

সারাদেশে করোনাভাইরাসের গণ টিকাদান শুরুর দিন জেলায় জেলায় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনসহ নানা শ্রেণি-পেশার সদস্যরা প্রথম টিকা নিয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক ঢাকাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2021, 06:13 PM
Updated : 7 Feb 2021, 06:17 PM

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার সকালে মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, “করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র কার্যকর উপায় হচ্ছে এই টিকা। টিকা নিয়ে নিজেকে নিরাপদ করাই আমার নাগরিক দায়িত্ব। প্রথমে টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ হলো অন্যরা যেন বুঝতে পারেন এই টিকা গ্রহণ করে উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অন্য কোনো সমস্যা হয় না।”

বেনাপোল

যশোরের শার্শায় দুপুরে প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারহানা জেসমিন।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী বলেন, “উপজেলায় ভ্যাকসিন পেতে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৯২২ জন যার মধ্যে রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৬০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।” 

ভোলা

জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন রথিন্দ্রনাথ মজুমদার।

এর আগে সকাল ১১ টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।

ভোলা সিভিল সার্জন সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় ৬০ হাজার টিকা পাওয়া গেছে। রোববার থেকে সাত উপজেলায় টিকা দেওয়া হচ্ছে।

চাঁদপুর

জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। পরে সিভিল সার্জন মো. সাখওয়াত উল্যাহ, মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারসহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, নার্সরা টিকা নেন।

সিভিল সার্জন শাখাওয়াত উল্যাহ জানান, দুপুর পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলায় ১৬০ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। কোনো ভয় পাওয়ার কারণ নেই। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭২ হাজার টিকা এসেছে।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসানকে টিকা দিয়ে জেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

সকালে সদর হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

সিভিল সার্জন জানান, জেলায় এক হাজারের বেশি মানুষ টিকা গ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, বিজিবি হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রে কেবলমাত্র রেজিস্ট্রারভুক্ত মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে।

কুমিল্লা

সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর জেনারেল হাসপাতালের প্রথম টিকা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।

এরপরই টিকা নেন তার স্ত্রী শেখ মনিরা নাজনীন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালামসহ চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে নানা শ্রেণিপেশার সদস্য।  

জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের বলেন, “বুঝতেই পরিনি টিকা দিয়েছি। আমি ও আমার স্বধর্মিনী টিকা নিয়েছে। আমরা ভালো আছি।”

জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান বলেন, “প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে এসেছে। প্রথম দিনে ২শ জন টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। প্রতিদিন আমরা ৬শ-৭শ জনকে একটি বুথে ভ্যাকসিন দিতে পারব।”

ফরিদপুর

সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা বেগম ও আইসিইউ ইউনিটের ইনর্চাজ ডা. অনন্ত কুমার বিশ্বাস প্রথম টিকা নিয়েছেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে টিকা প্রদানে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।  

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলায় ২০ হাজার জন টিকার নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে।  

তিনি জানান, উদ্বোধনের পর টিকা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ ‍সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ফরিদপুর পৌর মেয়র, সির্ভিল সাজন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচা্লক, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ফেনী

জেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন।

রোববার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে অস্থায়ী বুথে বেলুন উঠিয়ে এ কার্যাক্রমের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন।

এরপর একে একে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া, ফেনী জেনারেল হাসপাতালেরর তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ টিকা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৫টি, পাঁচটি উপজেলায় দুইটি করে ১০টি ও ফেনী পুলিশ লাইনে একটিসহ মোট ১৪টি বুথে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।  সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রসমূহে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ জন ব্যক্তিকে টিকা প্রদান করা হবে।

প্রথম পর্যায়ে জেলায় মোট ২৪ হাজার ব্যক্তিকে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

গাজীপুর

জেলায় প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান।

সিভিল সার্জন বলেন, জেলার ৭টি হাসপাতালে প্রতিদিন একযোগে এই টিকা প্রদান করা হবে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ হাসপাতাল, রাজেন্দ্রপুর সিএমএইচ এবং কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হবে।

তিনি জানান, গাজীপুরে ১ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। যদি টিকা আরও প্রয়োজন হয় তবে সে ব্যবস্থা সরকার থেকে করা হবে। মহানগর ও জেলায় পর্যায়ক্রমে প্রতিটি নাগরিককে টিকার আওতায় আনা হবে।

এদিকে, কালীগঞ্জ  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

তিনি বলেন, “সংসদ সদস্যদের জন্য টিকা নেওয়ার আলাদা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও আমি আমার সংসদীয় আসনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভ্যাকসিন নিলাম যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো সংশয় না থাকে।”

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকেক্সের চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি নিজে উপজেলায় প্রথম টিকা নিয়েছেন এবং ভালো আছেন। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোববার ১৯ জন টিকা গ্রহণ করেছেন।

যশোর

যশোর জেনারেল হাসপাতালে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মেদ টিকা নিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।

এরপর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.দিলীপ কুমার রায়সহ দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনীতিক দলের নেতৃবৃন্দরা টিকা নিয়েছেন।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৭১ জন নিবন্ধন করেছেন। ১২টি কেন্দ্রে ৩৩টি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে।

জয়পুরহাট

জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রাশেদ মোবারক প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন।

এর আগে দুপুরে জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বলে সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলী জানান।

কুড়িগ্রাম

সকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম টিকা নিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান জানান, উদ্বোধনী দিনে জেলায় তিনিসহ টিকা নিয়েছেন ৪৫০ জন। অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিনও টিকা নেন।

কুষ্টিয়া

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে জেলায় টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

উদ্বোধনী দিনে তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন।  

মুন্সীগঞ্জ

সকালে জেনারেল হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস।

এছাড়া সকালে লৌহজং উপজেলা কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।

পিরোজপুর

সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

জেলা প্রশাসক জানান, জেলা হাসপাতাল ও ৭টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাতটি কেন্দ্রে ২২টি বুথে ২২শত জনকে টিকা প্রদান করা হবে।

সাতক্ষীরা

বেলা সাড়ে ১২টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল টিকা গ্রহণ করেন।

এরপর সদরের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবিসহ পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসনের ঊর্ধতনকর্মকর্তারা একে একে টিকা গ্রহণ করেন।

সাভার

সাভার উপজেলায় প্রথম টিকা নেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা।

টিকার নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি প্রতিক্রিয়া লিখেছেন, “ভ্যাকসিন নিলাম। আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। সবার সুস্থতা কামনা করছি।”

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর রিফফাত আরা ধামরাই উপজেলায় সর্বপ্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন।

এই সময় সাবেক বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. সুকুমার রায় এবং মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মী শামসুদ্দিন, আলতাফ টিকা গ্রহণ করেন।

টিকা নেওয়ার পর সকলেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর রিফফাত আরা।

প্রথম দিন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুলও হক টিকা নিয়েছেন।

টিকা গ্রহণ শেষে গণমাধ্যমে নবম পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার জিওসি মেজর জেনারেল শাহিনুল হক বলেন, “আমরা সব সময়ই আমাদের যে ডাক্তার ও অথরিটি আছে তাদের উপর ভরসা করে যাবতীয় কার্যক্রম নিশ্চিন্ত মনে করে এসেছি। এখনও তাদের উপর আমাদের বিশ্বাস আছে এবং এখানে ভয়ের কিছুই নাই।”

শেরপুর

জেলায় উদ্বোধনী দিনে প্রথম টিকা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম।

সকাল ১১ টায় জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক।

সিভিল সার্জন একএম আনোয়ারুর রউফ জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৬শ মানুষ নিবন্ধন করেছেন।

টাঙ্গাইল

জেলা প্রশাসক আতাউল গনিকে টিকা দিয়ে জেলায় টিকাদান কর্মসুচির উদ্ভোধন করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন খান জানান, এরপর টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার রঞ্জিত কুমার রায়, তিনি নিজে, ও টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহম্মেদ পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহণ করেন।

জেলায় ১ লাখ ২০ হাজার ডোজ টিকা জেলায় মজুদ আছে এবং যারা টিকা গ্রহণের নিবন্ধন করবে তাদের পর্যায় কমে টিকা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

মাগুরা

মাগুরায় প্রথম টিকা নিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার কুন্ডু ।

সকাল ১১টায় সদর হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।

মৌলভীবাজার  

জেলার সিভিল সার্জন  চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৫,৭৫৪ জন অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।  সকালে সদর হাসপাতালে স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ এবং  শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ টিকা গ্রহণ  করেছেন।

রংপুর 

রংপুরে প্রথম টিকা নিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নূরুন্নবী লাইজু ও সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়, জেলা প্রশাসক আসিব আহসানসহ পর্যায়ক্রমে টিকা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানান, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলায় সাত হাজার ৬৩২ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে চিকৎসক রয়েছেন ৫০০ জন।

সিলেট

প্রথম দিন সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম টিকা নিয়েছেন।

সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, রোববার সকালে এমএজি ওসমানী হাসপাতালে টিকা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে সিলেটে টিকা দেয়া শুরু হয়। মহানগর ও ১৩ উপজেলার ৪১টি বুথে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।

গাইবান্ধা

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনকে প্রথম টিকা দিয়ে কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। এরপর সিভিল সার্জন আ. ম. আখতারুজ্জামান টিকা নেন।

টিকা নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসক বলেন, “টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। টিকা নিতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি টিকা নিয়েছি। আমি এখন নিরাপদ।”

তিনি সকল নাগরিককে টিকা নেওয়ার আহবান জানান। 

জেলা সদরে ৫৩১ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন; এর মধ্যে ৩শ জনকে এসএমএস দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন আ. ম. আখতারুজ্জামান।

নাটোর

সদর হাসপাতালে প্রথমে টিকা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো.শাহরিয়াজ। পরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায়। পরে চিকিৎসকগণ ও সাংবাদিকরা টিকা গ্রহণ করেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক কর্মকর্তা মো.রাসেল জানান,রোববার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলায় মোট ২০৭ জন টিকা নিয়েছেন। নাটোর সদর হাসপাতাল ও ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব ব্যক্তি টিকা গ্রহণ করেন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১৪৪ জন ও নারী ৬৩ জন। টিকা গ্রহণের ফলে বিকেল পর্যন্ত কারোরই অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।