শার্শায় ঘর পেল ৫০ গৃহহীন

আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলায় ৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2021, 06:58 AM
Updated : 23 Jan 2021, 06:58 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সারাদেশের ভূমিহীন-গৃহহীনদের দুই ঘর বিশিষ্ট ৬৬ হাজার পাকা বাড়ির চাবি বুঝিয়ে দেন।

এ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর শার্শা উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু উপজেলার ৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিলসহ বাড়ির চাবি হস্তাস্তর করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, “মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন ‘ক’ তালিকাভূক্ত ১১৫টি পরিবারের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০টি পরিবারকে সরকারি খাস জমিতে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

“পরিবার প্রতি ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে কবুলিয়ত সম্পন্ন করে দেওয়া হয়েছে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, বাথরুমসহ দুইটি কক্ষ বিশিষ্ট ওই পাকা ঘরে থাকছে রান্নাঘর ও বারান্দা। সুপেয় পানির জন্য রয়েছে টিউবওয়েল; যা একটি ছোট পরিবারের থাকার জন্য যথেষ্ট।

প্রতিটি পাকা বাড়ি নির্মাণে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সুবিধাভোগী মোশাররফ হোসেন বলেন, “মুজিব বর্ষে ঘর পেয়ে আমি দারুণ খুশি। জীবনে ঘর তৈরি করে বসবাস করতে পারব তা কখনো ভাবিনি।”

রেশমা খাতুন (৪৫)বলেন, “আমার ঘরবাড়ি ছিল না। অসহায় ছিলাম। এই ঘর তৈরি করার ক্ষমতা আমার ছিল না। শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর পেয়ে ঘর পেয়ে আমি খুশি।”

বাগআচড়ার অশোক বলেন, “পরিবারের চারজনের জনের মুখে খাদ্য তুলে দিতি পারিনে। তয় ঘর করবো কী দিয়ে? এ পেয়ে আমি খুব খুশি।”

ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ এসএম ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া, শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান,পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও  ভূমি কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।