শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাঁথিয়া উপজেলার নাড়িয়াগদাই বাজারে এ সংঘর্ষে আরও পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের নাড়িয়াগদাই গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মুন্নাফ (৪২) এবং তার মামাত ভাই পাইকশা গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে নাছির (৩৫)।
আহতরা হলেন, নির্মাণ শ্রমিক রওশন, মাহতাব, হারুন, সামাদ এবং ইয়াছিন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রওশন ও মাহতাবকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মুন্নাফের বাবা শাখাওয়াত হোসেন পুলিশের গাফেলতিতে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাঁথিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কিছুদিন আগে মুন্নাফ নাড়িয়াগিদা বাজারে সাচ্চু প্রামানিকের কাছ থেকে জমি কেনেন। সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করলে জমির সীমানা নিয়ে সাচ্চু প্রামানিকের ভাই বাচ্চুর সাথে বিরোধ বাধে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা সালিশও হয়েছে।
শনিবার সকালে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে মুন্নাফসহ কাজ করতে আসা শ্রমিকদের কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই নাসির মারা যান। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মুন্নাফ বলেন তারা।
এ ঘটনার পর পাবনার পুলিশ সুপার মুহিবুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।